SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

Admission
ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) - বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, শিম, মূলা, ঢেঁড়শ, পালংশাকে রোগবালাই আক্রমণের লক্ষণ শনাক্ত করা
Please, contribute to add content into বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, শিম, মূলা, ঢেঁড়শ, পালংশাকে রোগবালাই আক্রমণের লক্ষণ শনাক্ত করা.
Content

প্রাথমিক তথ্য- বাঁধাকপি, ফুলকপি, মূলায় অলটারনারিয়া ব্রাইট রোগ পাতায় কাল ও ধূসর দাগ তৈরি করে। কাল দাগ ছোট ও গোলাকার হয়। ধূসর দাগ আয়তনে বড় ও হালকা বর্ণের হয়। উভয় দাগই বলয় তৈরি করে। তীব্র আক্রমণে পাতা, ডাল, ফল ধীরে ধীরে শুকিয়ে মারা যায়। পাতা ঝরে যায়। কপি, বরবটি, শিম, ঢেঁড়শে শেকড় পঁচা রোগে শেকড় এবং কাণ্ড কাল হয়ে পঁচে যায়, পাতার উপর ধূসর বাদামী দাগ পড়ে। আস্তে আস্তে পুরো পাতা আক্রান্ত হয়। পালংশাকে পাতার দাগ রোগে পাতায় ছোট ছোট বাদামী দাগ পড়ে, যা ক্রমান্বয়ে বড় হতে থাকে এবং পাতা হলুদ হতে থাকে। ডাউনি মিলডিউ রোগ শিম, পালংশাক, কপি, কুমড়া জাতীয় সবজিতে আক্রমণ করে (কুমড়াজাতীয় সবজিতে রোগের লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে।)

প্রয়োজনীয় উপকরণ

১. বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, শিম, মূলা ও ঢেঁড়শ ফসলের আক্রান্ত পাতা, ২। চাকু/কাঁচি, ৩। চিমটা বা । ফরসেফ ৪। ট্যাগ ৫। স্বচ্ছ টেপ, ৬। হার্বোবিয়াম শিট, ৭। ডালা / ট্রে, ৮। খাতা-পেন্সিল।

কাজের ধাপ 

১। বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, শিম, মূলা ও ঢেঁড়শ ফসলের জমিতে নিয়ে আক্রান্ত পাতা, কাণ্ড বা গাছের সাথে রোগের লক্ষণ মেলাতে হবে।

রোগের নামরোগের লক্ষণ
বাঁধাকপি, ফুলকপি ও মূলার অলটারনারিয়া বাইট

পাতায় কাল ও ধূসর দাগ তৈরি করে। কাল দাগ গোলাকার ও ছোট এবং ধূসর দাগ বড় ও হালকা বর্ণের হয়। 

দাগগুলো বলয় তৈরি করে, ফলে পাতা শুকায় ও ঝরে পড়ে।

কপি, বরবটি, শিম ও ঢেঁড়শে শেকড় পঁচা রোগগাছের কাণ্ড ও শেকড় কাল হয়ে পচে যায়, পাতায় ধূসর বাদামী দাগ পড়ে ও পাতা সম্পূর্ণ আক্রান্ত হয়।
পালংশাকে পাতার দাগ রোগপাতায় ছোট ছোট বাদামী দাগ পড়ে, দাগ বড় হয়ে পাতা হলদে করে।

২। রোগের লক্ষণ দেখে আক্রান্ত কাণ্ড গাছ বা পাতার বোঁটা কেটে ট্যাগে লিখে তাতে বাঁধতে হবে। 

৩। আক্রান্ত সংগৃহীত নমুনা ডালায়/ট্রেতে করে ছায়ায় ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। 

৪। আক্রান্ত নমুনা নেতিয়ে গেলে টান টান করে দুটি শিট কাগজের ভেতরে বা ভাঁজে স্যান্ডউইচের ন্যায় করে সমতল কাঠের উপর রেখে হালকা চাপা দিয়ে ছায়ায় ২-৩ দিন রাখতে হবে। 

৫। চাপ দেওয়া নমুনাটি ২/৩দিনে শুকিয়ে গেলে হার্বোরিয়াম শীটে স্বচ্ছ টেপ দিয়ে আটকাতে হবে। 

৬। প্রতিটি নমুনার নিচে রোগের নাম লিখতে হবে। সেইসাথে তারিখ, স্থান ও ঠিকানা লিখতে হবে। 

৭। হার্বোরিয়াম শিটটি সম্পূর্ণভাবে সেলোফিন কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে দিলে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যাবে।

Content added By
Promotion